Monday, 4 December 2017
Sunday, 3 December 2017
Wednesday, 22 November 2017
ফটোগ্রাফি টিউটোরিয়াল : ভাল ছবি উঠানোর নিয়মকানুন
ক্যামেরা যত ভাল ছবিও তত ভাল, কথাটা কিছুটা সত্য তো বটেই। কিন্তু সাধারন ক্যামেরা ব্যবহার করে চমৎকার ছবি উঠানোর উদাহরন কম নেই। দামী এসএলআর হোক আর সাধারন পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরা হোক অথবা মোবাইল ফোনের ক্যামেরাই হোক, কিছু নিয়ম মেনে যে কেউ সুন্দর ছবি উঠাতে পারেন। পেশাদার ফটোগ্রাফাররা যে নিয়ম মেনে ছবি উঠান সেগুলি একবার জেনে নিন। ছবির বিষয় ঠিক করুন ক্যামেরায় ক্লিক করলে ছবি উঠবে। ক্যামেরার সামনে যা আছে সেটাই পাবেন। তাকে কি ভাল ফটোগ্রাফ বলা যায়! ছবি উঠানোর আগে ছবিকে শিল্পীর আকা ছবির সাথে তুলনা করুন। তিনি অনেক ভেবেচিন্তে যা বক্তব্য সেটা ফুটিয়ে তোলেন। ফটোগ্রাফার হিসেবে আপনার সেটাই দায়িত্ব। কাজেই ছবি উঠানোর আগে একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন, কিসের ছবি উঠাচ্ছি। এর বক্তব্য কি ? কোন ব্যক্তির ছবি উঠালে তার পোষাক, পরিবেশ, আলো এগুলি তারসাথে মানানসই কি-না। কাজেই ছবি উঠানোর প্রথম নিয়ম, ছবির বক্তব্য ঠিক করুন। যে ছবিই উঠান না কেন, একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন কিসের ছবি উঠাচ্ছেন। ছবির বক্তব্য কি। অন্য কোনভাবে উঠালে কি ছবি আরেকটু ভাল হত ? দিনের অন্য সময়ে, কিংবা কৃত্রিম আলো ব্যবহার করে। তিনের নিয়ম ছবি উঠানোর সময় ফটোগ্রাফাররা সাধারনভাবে যা করেন, দিগন্ত রেখা ছবির মাঝামাঝি রেখে ফ্রেম করেন। অর্থাত আপনার সামনে যদি মাঠ এবং আকাশ থাকে তাহলে মাঠের জন্য অর্ধেক এবং আকাশের জন্য অর্ধেক এভাবে ভাগ করে নেন। কিংবা সমুদ্র এবং আকাশ থাকে তাহলে অর্ধেক আকাশ এবং অর্ধেক পানি এভাবে ছবি উঠান। একে অনেকে তুলনা করে খেলার ড্র এর সাথে তুলনা করেন। কে বিজয়ী জানা নেই। ফটোগ্রাফির একটি গুরুত্বপুর্ন নিয়ম রুল অব থ্রি এর পরিপন্থী। হাজার বছর ধরে রুল অব থ্রি প্রচলিত। নিয়ম হচ্ছে, দুভাগ একজনকে বাকি একভাগ আরেকজনক দিন। বিষয়ের গুরুত্ব অনুযায়ী। যদি সমুদ্র গুরুত্বপুর্ন হয় দিগন্তরেখা তিনভাগের দুভাগ ওপরে রাখুন, যদি আকাশ গুরুত্বপুর্ন হয় তাহলে আকাশকে তিনভাগের দুভাগ দিন। অনায়াসে সুন্দর ছবি পাবেন। পুরো ছবি উঠান আপনি একটি সুন্দর ফুলের ছবি উঠাতে চান। অনেকগুলি ফুলের মধ্যে একটি ফুল আপনার কাছে গুরুত্বপুর্ন। বাগানের ছবি উঠানোর পর সেই ছবি কাউকে দেখানোর পর লক্ষ্য করলেন তারা সেই বিশেষ ফুলটি লক্ষ্য করছে না। কারন একটিই, আপনি সেভাবে ছবি উঠাননি। যদি ফুলের ছবি উঠাতে হয় যতটা সম্ভব কাছে থেকে ছবি উঠান। এমনভাবে যেখানে সেই ফুলটিই ছবির অধিকাংশ যায়গা জুড়ে থাকে। অন্য ফুলগুলির কাজ এই বিশেষ ফুলের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা। ফুল না হয়ে যদি বিশেষ কোন বস্তু, এমনকি কোন ব্যক্তির বিষয়ও হয় তাহলেও এই নিয়মে ছবি উঠান। নিজেকে বলতে পারেন, ছবি উঠানোর পর ফটোশপে পাশ থেকে বাদ দেয়া যাবে। সেটা না করে ছবি সেভাবে উঠানো অভ্যেস করুন। ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে একটি বিখ্যাত উক্তি রয়েছে, ছবি ভাল হয়নি কারন আপনি যথেষ্ট কাছে যাননি। কাজেই, ছবি উঠানোর জন্য যতটা সম্ভব কাছে যান, অথবা লেন্স পাল্টান অথবা জুম ব্যবহার করুন। পোর্ট্রেট মোডে ছবি উঠান সাধারনত অধিকাংশ ছবি উঠানো হয় ল্যান্ডস্কেপ মোডে, পাশের দিকে বেশি যায়গা রেখে। অথচ ক্যামেরা ঘুরিয়ে সেই ছবিকেই লম্বালম্বিভাবে ছবি উঠানো সম্ভব। একজন দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তির ছবি ল্যান্ডস্কেপ মোডে উঠালে পাশে অনেক অপ্রয়োজনীয় যায়গা থেকে যায়। অথচ লম্বলম্বিভাবে উঠালে তাকে আরো ভালভাবে দেখানো সম্ভব। ভুলে যাবেন না, এজন্যই এর নাম পোর্ট্রেট মোড। কোন ছবি কোনভাবে উঠালে ভাল হবে এর কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই। একই ছবি যেকোনভাবেই সুন্দর হতে পারে। সবসময় ল্যান্ডস্কেপ মোডে না উঠিয়ে একবার নিজেকে বলুন, এই ছবিটাই একটা পোর্ট্রেট মোডে তুলে দেখি না কি হয়। ফ্রেমের মধ্যে ফ্রেম প্রিন্ট করা ছবি আমরা ফ্রেমে রাখি, ডিজিটাল ছবির চারিদিকেও ফ্রেম ব্যবহার করা হয়। ইচ্ছে করলে ছবি উঠানোর সময় কোনকিছুকে ফ্রেম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। প্রকৃতি, গাছের পাতা, দেয়াল থেকে শুরু করে নিজের হাত, যেকোন কিছুই ফ্রেম হিসেবে ছবির সৌন্দর্য বাড়াতে পারে। ব্যাকগ্রাউন্ডের দিকে দৃষ্টি দিন ঘরে অথবা বাইরে যেখানেই ছবি উঠান না কেন, পেছনে কি রয়েছে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। ছবি উঠানোর সময় যদি অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তির উপস্থিতি থাকে তাহলে কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। পেছন থেকে কেউ উকি দিচ্ছে দেখা গেলে ভাল ছবি হয় না। একইভাবে অপরিস্কার, অগোছালো কিছু থাকলে সেগুলি এড়িয়ে ছবি উঠান। সামান্য সরে গেলেই এই বিষয়গুলি এড়িয়ে ভাল ছবি পাওয়া যাবে। শুধুমাত্র তাত্ত্বিক জ্ঞানে ভাল ছবি পাওয়া যায় না। ভাল ছবির পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হচ্ছে ছবি উঠানোর পর সেখানে কোন ত্রুটি আছে কিনা বের করা এবং কি করলে আরো ভাল ছবি পাওয়া যেত সেটা বের করা। কাজেই যত বেশি ছবি উঠাবেন তত ভাল ছবি পাওয়ার সম্ভাবনা।
Photography Tutorial: মুভমেন্ট ফটোগ্রাফি
ছবি উঠানোর সময় হাত এবং ক্যামেরা স্থির রাখবেন, সম্ভব হলে ট্রাইপড ব্যবহার করবেন অথবা কোথাও ঠেস দিয়ে দাড়াবেন, বেশি সাটার স্পিড ব্যবহার করবেন, ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন ব্যবহার করবেন এসব কথা শুনেই আপনি অভ্যস্থ। এর বিপরীত দিক কি কখনো ভেবে দেখেছেন। ছবি উঠানোর সময় ইচ্ছে করে ক্যামেরা নাড়ানো। ফটোগ্রাফিতে এর নাম মুভমেন্ট ফটোগ্রাফি। মুল বিষয় হচ্ছে সাটার স্পিড কম ব্যবহার করবেন যেন বেশি সময় ধরে এক্সপোজার পাওয়া যায়। যতক্ষন সাটার খোলা থাকবে সেই সময়ে ক্যামেরা নাড়াবেন। আলোর যায়গাগুলি একধরনের গতিশীল আলোকপথ তৈরী করবে। একেবারে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাজটি না করে একেই নিজের পছন্দমত কাজে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন জুম ইফেক্ট। Aperture Priority মোড সিলেক্ট করুন। এপারচার ২২ সেট করুন। যে বিষয়ের ছবি উঠাবেন সেখানে ফোকাস করুন। সাটার রিলিজ চেপে ছবি উঠানোর সময় দ্রুত জুম কম বা বেশি করুন। আলোকরশ্মির ইফেক্ট পাবেন এরফলে। অথবা ব্যবহার করতে পারেন রোটেশন ইফেক্ট। ছবি উঠানোর সময় ক্যামেরা বৃত্তকারে ঘুরান, অথবা আপনি নিজেই ক্যামেরা সহ ঘুরুন। হয়ত স্পষ্ট বিষয় পাবেন না কিংন্তু রঙের বৈচিত্র থাকলে মজাদার কিছু পাবেন। উদাহরনের ছবিটি মাথার ওপর বড়বড় গাছের। অথবা বাগানে ফুলের ছবি উঠানোর সময় সাটার স্পিড একেবারে কমিয়ে ইচ্ছেমত ক্যামেরা ঘুরান। একেবারে ভিন্ন ধরনের ছবি পাবেন। ক্যামেরা ওপরে নিচে করে আরেকধরনের ইফেক্ট পেতে পারেন। জুম ইফেক্ট এর জন্য এসএলআর অথবা জুম-রিং ব্যবহার করা যায় এমন ক্যামেরা প্রয়োজন হবে। অন্য ইফেক্টগুলি ব্যবহার করা যাবে যে কোন ক্যামেরায়। ডিজিটাল ক্যামেরা এবং ডিজিটাল ফটোগ্রাফি ভাল ছবি উঠানোর নিয়ম-কানুন কখন কোন মোডে ছবি উঠাবেন সঠিক এক্সপোজার ব্যবহার ট্রাইপড কেন ব্যবহার করবেন ফ্লাশ কখন ব্যবহার করবেন না ডেপথ অব ফিল্ড ব্যবহার জেপেগ বনাম র মোড প্যানোরমা ছবি উঠানোর নিয়ম পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফির নিয়ম ফোকাল লেন্থ, এঙ্গেল অব ভিউ এবং নানা ধরনের লেন্স ক্যামেরা ব্যাগ – কি দেখে কিনবেন সঠিক রঙের জন্য হোয়াইট ব্যালান্স মুভমেন্ট ফটোগ্রাফি ফটোগ্রাফির জন্য দৃষ্টিভঙ্গি ফটোগ্রাফির জন্য এডবি লাইটরুম ফটোগ্রাফি থেকে আয় ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরা ব্যবহারের নিয়ম ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরা ব্যবহার, মিটারিং মোড ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন ব্যবহার ডিজিটাল ক্যামেরার ফার্মঅয়্যার আপগ্রেড করা ক্যানন ডিজিটাল এসএলআর ক্যামেরা ব্যবহার এইচডিআর ফটোগ্রাফি
ফটোশপ টিউটোরিয়াল : ফটোশপ কেন ব্যবহার করবেন
ইমেজ এডিটিং এর ক্ষেত্রে এডবি ফটোশপকে বলা হয় ইন্ডাষ্ট্রি ষ্ট্যান্ডার্ড। এর ব্যবহার অন্যান্য সফটঅয়্যার থেকে কিছুটা ভিন্ন, যেকারনে অনেকেই কিভাবে শুরু করবেন তা নিয়ে সমস্যায় পড়েন। এমনকি বই পড়ে কিংবা ভিডিও টিউটোরিয়াল ব্যবহারের পরও মনে হয় কোথায় যেন কিছু বাদ পড়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে সহায়তা করার জন্য ধারাবাহিকভাবে ফটোশপের টিউটোরিয়াল প্রকাশ করা হচ্ছে। ইন্টারনেটে এধরনের টিউটোরিয়ালের সুবিধে হচ্ছে শিক্ষার্থী অনায়াসে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। এক শিক্ষার্থী অন্যের সাথে যোগাযোগও করতে পারেন এর মাধ্যমে। প্রথমে কিছু সাধারন আলোচনা সেরে নেয়া যাক, প্রথম প্রশ্ন। ফটোশপ কেন ব্যবহার করবেন ফটোশপ কি ? একেবারে সঠিকভাবে না জানলেও মোটামুটি ধারনা রয়েছে সকলেরই। এমনকি কম্পিউটার ব্যবহার করেন না এমন ব্যক্তিরও। এটাই বলে দেয় এর জনপ্রিয়তা কতখানি। এক কথায়, ইমেজ এডিটিং এর ক্ষেত্রে বিশ্বের ১ নং সফটওয়্যার। এই কথায় বিষয়টি পরিস্কার হয় যতটুকু ঘোলাটে হয় তারচেয়ে বেশি। ইমেজ এডিটিং কি জিনিষ ? কে সেকাজ করে ? আমার সেটা প্রয়োজন কেন ? ইত্যাদি ইত্যাদি। গ্রাফিক ডিজাইন যার পেশা, অথাৎ চাকরী করেন ডিজাইনার হিসেবে কিংবা অর্থ উপার্জনের জন্য নিজে কাজ করেন তারা ফটোশপ ব্যবহার করেন বিজ্ঞাপন, লিফলেট, পত্রিকা, বইয়ের প্রচ্ছদ, পোষ্টার থেকে শুরু করে সব ধরনের ডিজাইনের কাজে। যাকিছু ছাপা হয়, যাকিছু টিভিতে দেখানো হয়, যাকিছু ইন্টারনেটে রাখা হয় সব যায়গায় রয়েছে ফটোশপে কাজের সুযোগ। যারা ভিডিও এডিটিং কিংবা এনিমেশনের কাজ করেন তাদেরও ছবির কাজ করতে হয় এখানেই। থ্যিডি মডেলের ওপর ব্যবহারের জন্য ম্যাটেরিয়াল থেকে শুরু করে থ্রিডি পেইন্টিং, স্পেশাল ইফেক্ট সবকাজ করা যায় ফটোশপে। প্রোগ্রামার, ওয়েব ডিজাইনাররা তাদের ছবির অংশটুকু করে নেন ফটোশপে। ফটোগ্রাফাররা তাদের ছবি ঠিক করেন ফটোশপে। এর কোনটিই যদি আপনার প্রয়োজন না হয় তাহলে শখের বিষয়টি মনে করুন। ক্যামেরায় (অথবা মোবাইল ফোনে) ছবি উঠানোর শখ নিশ্চয়ই আছে। এবং লক্ষ্য করেছেন আপনার ছবি একটা দামী পত্রিকার ছবির মত উজ্জ্বল, ঝকঝকে হয় না। তারা দামী ক্যামেরা ব্যবহার করে, একাজে দক্ষ একথা মনে রাখার পরও আরেকটা বিষয় উল্লেখ করতে হয়, ছবি সরাসরি ঝকঝকে হয় না। কাজটি ফটোশপে (অথবা এই ধরনের কোন সফটঅয়্যারে) করে নেয়া হয়। অথবা বিয়ে-জন্মদিন-ঈদ-বড়দিন-পুজায় কাউকে নিজের তৈরী কার্ড দিতে চান। সেখানে নিজের কিংবা প্রিয় কারো ছবি, অথবা নিজের উঠানো একটা ফুলের ছবি বসিয়ে দিতে চান। একাজটিও করে নিতে পারেন সবার সেরা সফটওয়্যারে। আর যদি আরো বড় ধরনের কাজের দিকে যান, যেমন ডিজিটাল পেইন্টিং তাহলেও ফটোশপ। ক্যানভাসে ছবি একে যারা খ্যাতি অর্জন করেছেন তাদের কথা একবার মনে করুন। তারা যাকিছু ব্যবহার করেন তার সবকিছুই ফটোশপে ব্যবহার করা সম্ভব। এককথায় যেখানে ইমেজ সেখানেই ফটোশপ। প্রিন্ট, ওয়েব, মাল্টিমিডিয়া, ভিডিও সব যায়গায়। ফটোশপের সবই ভাল, সবচেয়ে ভাল কাজ করা যায়, একথা জানার সাথেসাথে আরেকটি কথা জেনে নেয়াই ভাল। এর ব্যবহার খুব সহজ না। ইমেজ এডিটিং এর বহু সফটওয়্যার পাওয়া যাবে যেগুলির ব্যবহার ফটোশপের তুলনায় সহজ। সেতুলনায় ফটোশপ তৈরী হয়েছে পেশাদারীদের জন্য। কাজেই সেরা সফটওয়্যার দিয়ে যদি সেরা ফল পেতে চান তাহলে কিছু অতিরিক্ত সময়, পরিশ্রম, মেধা ব্যয় করতেই হবে। বছরের পর বছর চেষ্টা করে তবেই একজন ফটোশপে দক্ষ হয়। যদি তাতে আপত্তি থাকে তাহলে সহজ কোন সফটওয়্যার বেছে নেয়াই ভাল। কোন ভার্শন ব্যবহার করবেন বর্তমানে ফটোশপের সর্বশেষ ভার্শন সিএস-৫। প্রশ্ন করতেই পারেন শেষ ভার্শন প্রয়োজন হবে না-কি আগের অন্য ভার্শন করলে চলবে। নতুন ভার্শন মানেই যখন আরো শক্তিশালী কম্পিউটার। যারা পেইন্টিং এর কাজ করেন তারা পুরনো ভার্শন ব্যবহার করেন। উদাহরন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কমিক নির্মাতা মারভেল ব্যবহার করে ভার্শন ৩ অথবা ৪। পরিচিত গ্রাফিক ডিজাইনারদের জিজ্ঞেস করলে জানবেন তারাও পুরনো কোন ভার্শন ব্যবহার করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভার্শন ৭। কাজেই আপনাকে লেটেষ্ট ভার্শন ব্যবহার করতেই হবে এমন কথা নেই। আবার পুরনো ভার্শনে নতুন ভার্শনের সবকিছু রয়েছে এটাও ধরে নেয়ার কারন নেই। যেমন সেএস৫ ভার্শনে থ্রিডি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে, স্মার্ট ফিল সহ অনেকগুলি নতুন বিশেষ ফিচার রয়েছে। এমনকি ভাল পারফরমেন্সের জন্য উন্নত গ্রাফিক্স কার্ডের সর্ব্বোচ্চ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। পুরনো ভাশর্নে এই সুবিধেগুলি পাওয়া যাবে না। বিষয়টি সহজ করে দেখা যাক। যদি সম্ভব হয় নতুন ভার্শন ব্যবহার করবেন। যদি কম্পিউটার যথেষ্ট শক্তিশালী না হয় তাহলে পুরনো ভার্শনে ক্ষতি নেই। প্রয়োজনীয় সব কাজই করা যাবে। ভার্শন ৫.৫ থেকে পরবর্তী যেকোন ভার্শন ব্যবহার করা যেতে পারে। কি প্রয়োজন ফটোশপ উইন্ডোজ এবং ম্যাকে একইভাবে কাজ করে। এই টিউটোরিয়ালগুলি উইন্ডোজের জন্য হলেও আপনি অনায়াসে ম্যাকে কাজ করতে পারবেন। কাজেই আপনার প্রথম প্রয়োজন উইন্ডোজ অথবা ম্যাক অপারেটিং সিষ্টেমের একটি কম্পিউটার। সেখানে ফটোশপ সফটঅয়্যার ইনষ্টল করা। নতুন ভার্শনের ফটোশপ যথেষ্ট বড় সফটঅয়্যার। কাজেই শক্তিশালি প্রসেসর, যথেষ্ট পরিমান মেমোরী, হার্ডডিস্কে যথেষ্ট পরিমান যায়গা এগুলিও প্রয়োজন। যদি নতুন কম্পিউটার কেনার বিষয় থাকে তাহলে দ্রুতগতির প্রসেসর, বেশি মেমোরী, বড় আকারের মনিটর, ভাল গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দিন। নিখুত কাজের জন্য উন্নতমানের মাউস প্রয়োজন। ড্রইং এর জন্য প্রেসার সেনসিটিভ গ্রাফিক ট্যাবলেট (ওয়াকম হতে পারে) ব্যবহার করলে আরো সুন্দর এবং নিখুত কাজ করা সম্ভব হবে। কাগজ থেকে ছবি ব্যবহার করতে হলে স্ক্যানার প্রয়োজন হবে। এছাড়া ছবি উঠানো প্রয়োজন হলে ক্যামেরা থাকা চাই। ফিল্ম ক্যামেরার তুলনায় ডিজিটাল ক্যামেরা বেশি সুবিধাজনক। উল্লেখ করা সবকিছু যদি নাও থাকে, কম্পিউটারে শুধুমাত্র ফটোশপ ইনষ্টল করেই কাজ শুরু করুন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য গ্রাফিক ডিজাইন কিভাবে শিখবেন
ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইন কাজ একটি বড় কাজের যায়গা। হিসেব যেহেতু ডলারে এবং অল্প কাজ করেই এভাবে হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। টাকার হিসেবে পরিমানটা যথেষ্ট। যারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইন পেশায় যেতে চান তাদের প্রথম প্রশ্ন, কিভাবে শিখব ? এখানে শেখার সম্ভাব্য পথগুলি সম্পর্কে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রথমেই একটা বিষয় পরিস্কার করে নেয়া ভাল। ইন্টারনেটে কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রতিযোগিতা করতে হবে সারা বিশ্বের ডিজাইনারদের সাথে। প্রায় সব দেশেই একজন শিক্ষার্থী গ্রাফিক ডিজাইনে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী নিতে পারেন। বাংলাদেশে এধরনের ব্যবস্থা নেই। এছাড়া শিক্ষাকে একাডেমিক এবং প্রফেশনাল এই দুভাগে ভাগ করা হয়। বাংলাদেশে প্রফেশনাল ডিগ্রী বলে কোন বিষয় নেই। অর্থতি গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য প্রচলিত শিক্ষা প্রতিস্ঠানে যেমন ব্যবস্থা নেই তেমনি দীর্ঘমেয়াদী ট্রেনিং নেয়ার ব্যবস্থাও নেই। ট্রেনিং সেন্টার নামে যে ব্যবস্থা আছে সেখানে যারা শেখান তাদের অনেকেই ডিজাইনের মুল নিয়ম জানা প্রয়োজন বোধ করেন না। কাজেই তিনি শেখান কি করিলে কি হয় পদ্ধতিতে। তারকাছে কাজ শিখেই সরাসরি কাজ করার আশা করতে পারেন না। গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য কি শেখা প্রয়োজন সেটা আগে জানা প্রয়োজন। একজন শিল্পীকে কয়েক বছর পড়াশোনা করে ছবি আকা শিখতে হয়। এই দীর্ঘ সময়ে তাকে শেখানো হয় রং কি, রেখা কি। কিভাবে একাধিক রঙের মিশ্রনে বিশেষ রং পাওয়া যায়। এই বিষয়গুলি বিজ্ঞান। ডিজিটাল ডিজাইনের ক্ষেত্রে কারিগরী বিষয় আরো বেশি গুরুত্বপুর্ন। ডিসপ্লেতে রং কিভাবে কাজ করে, কাগজে প্রিন্ট করার সময় কিভাবে কাজ করে, ইন্টারনেটে কিভাবে কাজ করে এবিষয়ে ভাল জ্ঞান না থাকলে আপনি ভাল ডিজাইনার হতে পারেন না। সেইসাথে বিভিন্ন ধরনের ইমেজ ফরম্যাট, তাদের সুবিধে-অসুবিধে, বিভিন্ন সফটঅয়্যার এবং ডিভাইস সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। শেখার প্রথম ধাপ পুরোপুরি তত্ত্ব। কোন টুল ব্যবহার করে কিভাবে কাজ করতে সেটা পরবর্তী ধাপ। এই প্রথম ধাপটিই সাধারনত এড়িয়ে যাওয়া হয়। ফলে যিনি শেখেন তিনি নিজেকে ডিজাইনার মনে করছেন অথচ ক্লায়েন্ট কেন তার কাজ পছন্দ করছেন না সেটা বুঝছেন না। কাজেই বাংলাদেশ থেকে কেউ যখন বলেন কিভাবে শিখব তার উত্তর দেয়া কঠিন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি কোন প্রতিস্ঠানের সহায়তা পান। প্রাথমিক বিষয়গুলি অল্প সময়ে শিখে নেয়া যায়। যদি নিজে বই পড়ে শিখতে হয় তাহলে অনেক বেশি সময় প্রয়োজন। আবার অনেকে ধরে নেয় ট্রেনিং যখন নিচ্ছি তখন আর বইপত্র পড়া প্রয়োজন কি। এই মনোভাব নিয়ে কখনও ভাল গ্রাফিক ডিজাইনার হবেন না। ভাল গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার জন্য অবশ্যই পড়াশোনা করতে হবে। বর্তমানে পড়াশোনার সুযোগ অনেক বেশি। ইন্টারনেটে খোজ করলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য পাওয়া যায়, বিনামুল্যে বই ডাউনলোড করা যায়। সেইসাথে কারো সহযোগিতা পেলে কাজ সহজ হয় অনেকটাই। কোন প্রতিস্ঠান বা অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তি। এরসাথে খরচের বিষয় রয়েছে। আপনি যে বিষয়কে বাকি জীবনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন সেজন্য খরচ করাটাই কি যৌক্তিক না। ইউনিভার্সিটি থেকে একটা ডিগ্রী নিলে কিছু একটা চাকরী পাওয়া যাবে একতা ভোলার সময় হয়েছে অনেক আগেই। আশ্চর্যজনকভাবে এখনও অধিকাংশ ছাত্র এই নিয়মেই চলতে অভ্যস্থ। আশা করেন অলৌকিক কিছু ঘটে যাবে, ভাল একটা চাকরী জুটে যাবে। বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী নিয়ে সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করছে, এমবিএ ডিগ্রী নিয়ে ব্যাংকের কেরানী হচ্ছে। কারন একটাই, শিক্ষা প্রতিস্ঠানের শিক্ষা এবং বাস্তব কাজের সমম্বয় না থাকা। আপনি এই ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে পারেন না। যা পারেন তা হচ্ছে নিজেকে নিরাপদ রাখতে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা। বাস্তবে যা করতে হবে সেটা শেখার দিকে দৃষ্টি দেয়া। গ্রাফিক ডিজাইন যদি শিখতেই হয় ভালভাবে শিখুন, অথবা মাথা থেকে সহজে টাকা আয়ের চিন্তা বাদ দিন।
ফ্রিল্যান্সারের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হওয়ার ৫ কারন
ফ্রিল্যান্সিং কাজে ক্রিয়েটিভিটি অমুল্য সম্পদ।অনেক ক্লায়েন্ট মুলত নতুন ধারনা পাওয়ার জন্যই নিয়মিত কর্মীর বদলে ফ্রিল্যান্সারের খোজ করেন।
অথচ অনেক ফ্রিল্যান্সারেরই অভিজ্ঞতা, আশানুরুপ নতুন কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। কখনো কখনো মনে হয় নতুন কিছু মাথায় আসছে না।
এই সমস্যার সহজ কোন সমাধান নেই। বরং সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কিছু কারন মানুষের জানা।
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারের বিভিন্ন কাজের পরিবেশ, প্রত্যাসা এবং সফলতা নানাভাবে পর্যালোচনা করে এগুলি পাওয়া গেছে।
প্রধান ৫টি কারন এখানে তুলে ধরা হচ্ছে;
একসাথে একাধিক কাজ করা অনেকেই মনে করেন একসাথে অনেকগুলি কাজ করতে পারা (মাল্টিটাস্কিং) বড় যোগ্যতা। কারো কারো ক্ষেত্রে সেটা হলেও সবাই লিওনার্দো দা ভিঞ্চি নন। তিনি একইসাথে দুহাতে দুটি ভিন্ন বিষয়ে লিখতে পারতেন। অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে বাস্তবতা হচ্ছে একসাথে একাধিক কাজ করার চেষ্টা করলে প্রতিটি কাজেই মনোযোগে ভাটা পড়ে। সৃজনশীল কাজ যেখানে বিষয় সেখানে এই সমস্যা আরো প্রকট। আপনার জন্য মাল্টিটাস্কিং সমস্যা কিনা যাচাই করে নিন। কাজের সময় ফোন রিসিভ করাও অনেকে ক্ষতিকর মনে করেন। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইমেইল যোগাযোগ ঠিক রেখে বাকিগুলি বন্ধ করে দিন। এ কাজ শেষ হলে অন্য কাজগুলি করুন। সহজ একটি উদাহরন দেখা যাক, দুঘন্টা মনোযোগ দিয়ে যে কাজ শেষ করা যায় সেই কাজ মাল্টিটাস্কিং এ ৮ ঘন্টা লাগতে পারে। কোনটি লাভজনক হিসেব করে নিন। . কম ঘুম ফ্রিল্যান্সারকে অনেক সময়ই অনিয়মিত কাজ করতে হয়। ফলে রাতের ঘুম নিয়ে সমস্যায় পরতে হয়। এর প্রভাব পড়ে মনোযোগের ওপর। এবিষয়ে পরামর্শ একেবারে নির্দিষ্ট। ঘুমের সমস্যা করে কাজ করবেন না। রাতের ঘুম ঠিক রেখে প্রয়োজনে সকালে উঠে করার চেষ্টা করুন। . ক্লায়েন্টের সমালোচনার ভয় সম্ভবত প্রতিটি ফ্রিল্যান্সারকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। ক্লায়েন্ট যখন সমালোচনা করছেন তখন আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। সবসময়ই মনে হচ্ছে এভাবে করলে তিনি পছন্দ নাও করতে পারেন। বিষয়টিকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। তিনি যদি সমালোচনা করেনই তাহলে সবচেয়ে বেশি যা হতে পারে, সেকাজটি হাতছাড়া হতে পারে। নিজেকে বিশ্বাস করার আপনি সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন, প্রয়োজনে আরো করবেন। হয়থ তিনি যেকথা বলেছেন সেটাই ঠিক। আপনার কাজ যথেষ্ট ভাল হয়নি। সমালোচনাকে কখনো ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। বিশ্বের প্রতিটি মানুষই ভুল করেন, এমন কিছু করেন যা আসলেই সমালোচনাযোগ্য। . আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকা এই সমস্যার সমাধান ইচ্ছে করলেই করা যায় না। যদি নিজের খরচ চালানোর মত আয় না হয় এবং অন্য কোন আয়ের উতস না থাকে, সহায়তা করার মত কেউ না থাকে তাহলে এর প্রভাব কাজে পরতে বাধ্য। এই সমস্যা সমাধানে সার্বজনিন নিয়ম মেনে চলতে চেষ্টা করুন। যে কাজে সম্ভাবনা বেশি, অর্থ বেশি সেদিকে বেশি মনোযোগ দিন। পরিমানে কম, অর্থে বেশি এমন কাজের চেষ্টা করুন। কিছু সঞ্চয় করুন। . সময়মত কাজ শেষ করার চাপ কাজের পরিমানের তুলনায় যদি হাতে সময় কম থাকে তাহলে এর প্রভাব কাজে পরতে বাধ্যভ প্রচলিত প্রবাদ, তাড়াহুড়ার কাজ ভাল হয় না। অথচ আপনার সাফল্য নির্ভর করছে ভাল কাজের ওপর। কাজের জন্য পর্যাপ্ত সময় নিয়ে কাজে হাত দিন। যে কাজে ৪ দিন সময় লাগার কথা সেকাজের জন্য আগেই ৬ দিন সময় নিন। কাজ ঠিক ঠিকবে, ক্লায়েন্ট খুশি থাকবেন। বিষয়গুলি একসাথে করলে যা পাওয়া যায় তা হচ্ছে, ক্রিয়েটিভিটির নিজস্ব গতি রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলেই তাকে বাড়িয়ে নিতে পারেন না। বরং সেটা ঠিক রাখার জন্য অনিয়মগুলি ত্যাগ করাই যথেষ্ট। Posted by Mofijul Molla
ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জন : টাকা কিভাবে হাতে পাবেন
ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনার পক্ষে যাকিছু করা সম্ভব সবই আপনি করলেন। যা জানা প্রয়োজন জানলেন, টাকা খরচ করে ইন্টারনেট সংযোগ নিলেন, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আউটসোর্সিং সাইটে গিয়ে কাজ নিলেন, সেটা করে জমাও দিলেন। এরপর আপনার হিসেবের পালা। আপনি টাকা পাবেন কিভাবে। এখানে যেহেতু আপনার সব ইচ্ছাই যথেষ্ট না সেহেতু আগেই হিসেব করে নেয়া ভাল। আগে দেখে নেয়া যাক তারা দেয় কিভাবে। সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ভিসা-মাষ্টারকার্ডের মত ক্রেডিট কার্ড। তারা আপনার নামে টাকা জমা দিতে পারে সাথেসাথেই, আপনিও সাথেসাথেই সেটা পাবেন। উন্নত দেশগুলিতে মানুষ কেনাকাটা থেকে শুরু করে ট্যাক্সিভাড়া পর্যন্ত দেয় ক্রেডিটকার্ডের মাধ্যমে। কাজেই তারা এই পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করবে সেটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে ক্রেডিট কার্ড নামের একটি বস্তু পকেটে নিয়ে বেড়াতে পারেন, টাকার বদলে সেটা দিতে পারেন না। সেটা থেকে টাকা বানিয়ে সেই টাকা নিয়ে দোকানে ঢুকতে হয়। আরেক পদ্ধতি হচ্ছে পে-পল এর মত অর্থ লেনদেনকারী প্রতিস্ঠানের সাহায্য নেয়। শুধুমাত্র ইমেইল ব্যবহার করে বিনামুল্যেই সেখানে একাউন্ট খোলা যায়। টাকা আপনার একাউন্টে জমা হবে। আপনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে সেটা উঠিয়ে নেবেন। এই পদ্ধতিও তুলনামুলক দ্রুতই। বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে পে-পল ব্যবহারে সরকারের অনুমতি নেই। পে-পল ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের নাম খুজে পাবেন না। এবিষয়ে সরকারের সর্বশেষ বক্তব্য, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আপনি এই আশ্বাসের ওপর নির্ভর করে অপেক্ষা করে জীবন পার করতে পারেন। আরেক পদ্ধতি হচ্ছে অয়্যার ট্রান্সফার। ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নের মত প্রতিস্ঠানের মাধ্যমে টাকা গ্রহন করা যায়। এই পদ্ধতিও বেশ দ্রুত। তবে এজন্য টাকা দিতে হয়। আরেক পদ্ধতি হচ্ছে প্রচলিত ব্যাংক চেক গ্রহন করা। তারা আপনার নামে চেক পাঠাবে আপনি সেই চেক ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে টাকা উঠাবেন। এতে সময় বেশি প্রয়োজন হয়, চেকের জন্য আলাদা ফি দিতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা, সকলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে না। আপনি যদি গুগলের কাছে টাকা পান তারা আপনার নামে চেক পাঠাবে, ছোট প্রতিস্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সাধারনত এই ঝামেলায় যাবে না। কাজেই আপনার সামনে সুযোগ খুব বেশি নেই। এবারে দেখা যাক যারা ইতিমধ্যে কাজ করছেন তারা কি করেন। কেউ কেউ অন্যের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। অর্থাত পরিচিত কারো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুযোগ থাকলে তার নাম্বার ব্যবহার করে সেখানে টাকা জমা করা। তাকে অবশ্যই এতটা বিশ্বস্ত হতে হয় যে টাকার হিসেবে গড়মিল করবে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে উন্নত দেশগুলিতে সবধরনের লেনদেন যাচাই করা হয়। যদিও বিষয়টি অবৈধ পর্যায়ে যায় না তাহলেও অনেকেই ঝামেলায় যেতে চান না। পে-পল ব্যবহার যেহেতু সহজ বলে অন্য দেশে করা পে-পল একাউন্ট ব্যবহার করেন কেউ কেউ। এখানেও সমস্যা একই। আপনার নিজেকেই বিদেশে একাউন্ট করতে হয় অথবা অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। পে-পলের নিয়ম অনুযায়ী একজনের একাউন্ট অন্যজন ব্যবহার নিষিদ্ধ। তারা জানলে একাউন্ট বন্ধ করে দেবে। এলার্ট-পে আরেকটি জনপ্রিয় পদ্ধতি যা খুব সহজে ব্যবহার করা যায়। পিটিসি সাইট এবং এফিলিয়েশন এর পেমেন্ট সাধারনত এভাবে নেয়া যায়। ওডেস্ক,ফ্রিল্যান্সার, স্ক্রিপ্টল্যান্স এই পদ্ধতি ব্যবহার করে না। যেখানে এার্ট-পে ববহার করা যায় সেখানে এলার্ট পে ব্যবহার করুন। এখানে ক্লিক করে সদস্য হতে পারেন। বাংলাদেশে যারা কাজ করেন তাদের প্রচলিত একটি পদ্ধতি হচ্ছে মানিবুকারস ব্যবহার করা। মানিবুকারস (www.moneybookers.com) পে-পলের মত একই ধরনের সেবা দেয়। তাদের সেবার মানও উন্নত (পে-পলের বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ রয়েছে)। যেহেতু অনেকেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন সেহেতু এটাই ভালভাবে জেনে নিন। আপনার প্রয়োজন স্থানীয় একটি ব্যাংক একাউন্ট। ব্যাংকের কাছে আগে জেনে নিন তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কি-না। ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে এই পদ্ধতিতে টাকা উঠানো যায় এটুকু নিশ্চিত করতে পারি। প্রয়োজন একটি ইমেইল এড্রেস। এটুকুই। এরপর মানিবুকারস সাইটে গিয়ে নিজের তথ্য দিয়ে নামে একটি একাউন্ট খুলুন। আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেনের জন্য সুইফট কোড নামে একটি কোড ব্যবহার করা হয়। ডাচবাংলা ব্যাংকের জন্য এই কোড DBBLBDDH। অন্য ব্যাংক হলে সেই ব্যাংকের কোড জেনে নিন। এই কোড ব্যবহার করে ব্যাংক একাউন্ট যোগ করুন। মানিবুকারস এ একাউন্ট তৈরীর কোন খরচ নেই। টাকা জমা হলে মানিবুকারস ওয়েব সাইটের উইথড্র থেকে টাকা উঠানোর চেষ্টা করুন। আপনাকে ঠিকানা/ব্যাংক ভেরিফাই করতে বলবে। সেটা করুন। অথবা, ভেরিফিকেশন ছাড়া ১৫ ডলার উঠানো যায়, কাজেই ১৫ ডলারের নিচে উঠান। তারা আপনার ব্যাংকে ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে। আপনার ব্যাংকে এই তথ্য যেতে ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। ব্যাংকে গিয়ে আপনার কোডটি নিন এবং মানিবুকারস এর সাইটে গিয়ে সেটা ব্যবহার করুন। এরপর প্রতি ৯০ দিনে ২০০০ ডলারের বেশি পর্যন্ত গ্রহন করতে পারবেন এই একাউন্ট ব্যবহার করে। অর্থের পরিমান যাই হোক, মানিবুকারস প্রতি লেনদেনের জন্য ২.১৬ ডলার কেটে রাখবে সার্ভিস চার্জ হিসেবে। এটা সামান্যই। অর্থ গ্রহনের আরেকটি সহজ পথ হচ্ছে এলার্ট-পে। এখানে খুব সহজে একাউন্ট করা যায়, সেখানে টাকা জমা হলে ব্যাংক থেকে উঠানো যায় বা ইন্টারনেটে খরচ করা যায়। একাউন্ট করার নিয়ম জেনে নিন এখানে। প্রতিকুলতা যতই থাক, কাজ করা সম্ভব। চাকরী বা ব্যবসার চিন্তা করে, অন্যের জন্য অপেক্ষায় সময় নষ্ট না করে নিজেই কিছু করার চেষ্টা করুন। অনেকেই করছে।
ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জন : কিভাবে করবেন
সরকার ঘোষনা দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। প্রতিদিন এবিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আগামীতে আউটসোর্সিং হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়ের উতস, কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় যায়গা। তারপরও যারা একাজ করবেন তারা অনেকেই অন্ধকারে রয়ে গেছেন। অনেকেই জানেন না ঠিক কি করবেন। কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে, কি কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে, কি কাজ করতে হবে, কাজ কোথায় পাওয়া যাবে, কত টাকা পাওয়া যাবে, কিভাবে পাওয়া যাবে। এই প্রশ্নগুলির উত্তর ধারাবাহিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে। প্রথমেই একটা কথা পরিস্কার করে নেয়া ভাল। বলা হচ্ছে কাজ করে অর্থ উপার্জনের বিষয়ে। কাজেই আপনাকে কাজ করতে হবে, সে কাজ শিখতে হবে, অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আপনার দক্ষতা যত বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ তত বেশি। এটাই একমাত্র পথ। যদি কাজ শিখতে এবং করতে পর্যাপ্ত আগ্রহ এবং চেষ্টা না থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করাই ভাল। সহজে অর্থ উপার্জন বলে যা বুঝানো হয় তা আসলে ততটা সহজ না। আউটসোর্সিং কি ? এটা নিশ্চয়ই প্রথম প্রশ্ন। উত্তর হচ্ছে, বাড়িতে বসে অন্য কারো কাজ করা। উন্নত দেশগুলিতে (আমেরিকা কিংবা ইউরোপ) মজুরী অত্যন্ত বেশি। কোন কোম্পানীর যদি নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরী প্রয়োজন হয়, এজন্য যদি একজন প্রোগ্রামার নিয়োগ করতে হয় তাহলে বিপুল পরিমান টাকা গুনতে হয়। সেকাজটিই অন্য দেশের প্রোগ্রামার দিয়ে করিয়ে নিলে তুলনামুলক কম টাকায় করানো যায়। বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থায় খুব সহজে একাজ করা সম্ভব। আপনি সেই প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, এনিমেটর অথবা যাই হোন না কেন ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তাদের কাজ করতে পারেন, ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বড় কোম্পানীর বদলে ছোট কোম্পানী, কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ের কাজের কথা যদি এরসাথে যোগ করা হয় তাহলে কাজের পরিধি বেড়ে যায় অনেক। ধরুন কোন ব্যক্তির একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা প্রয়োজন। তিনি নিজে সেকাজ পারেন না। কাজেই তার প্রয়োজন এমন একজন ব্যক্তি যিনি সেকাজ করে দেবেন। আপনি যদি সেকাজে দক্ষ হন তাহলে আপনি আগ্রহি হয়ে সেখানে যোগাযোগ করলেন। সমঝোতা হল, আপনি কাজটি করে দেবেন, বিনিময়ে ১০০ ডলার পাবেন। লাভ দুজনেরই। কাজেই, আউটসোর্সিং হচ্ছে এক যায়গার কাজ অন্যযায়গা থেকে করিয়ে নেয়া। এই কাজকে সহজ করার জন্য অনেক প্রতিস্ঠান রয়েছে। তাদের ওয়ের সাইটে বিনামুল্যে সদস্য হওয়া যায় (আপনাকে বিনামুল্যে সেবা দিয়েও তারা নিজেরা লাভ করেন। সে হিসেব আলাদা)। তাদের সদস্য দুধরনের, একপক্ষ কাজ দেন, আরেকপক্ষ কাজ করেন। আপনি যখন কাজ দেবেন তখন কাজের বিবরন, সময়, অর্থের পরিমান ইত্যাদি তাদের জানাবেন। তারা ওয়েবসাইটে সেগুলি রেখে দেবেন যারা কাজ করতে আগ্রহি তাদের জন্য। আপনি যত কাজ করবেন তখন তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে সেই তালিকা থেকে নিজের পছন্দমত কাজের জন্য আবেদন করবেন (সাধারনত একটি লিংকে ক্লিক করাই যথেষ্ট)। যার কাজ তিনি আবেদনগুলি যাচাই করে যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে কাজটি দেবেন। আপনি সেই ব্যক্তি হলে কাজটি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তারকাছে পাঠিয়ে দেবেন। সাথেসাথে আপনার একাউন্টে কাজের অর্থ জমা হবে। কাজের ধরন একটু আগে দুধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে, একটি কোম্পানীর, অপরটি ছোট কোম্পানী কিংবা ব্যক্তির। আউটসোসিং এর কাজ মুলত এই দুধরনের। বড় কোম্পানীর বড় কাজ করার জন্য বড় প্রতিস্ঠান প্রয়োজন। সেখানে আপনি একজন নিয়মিত কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সার নন। আর ছোট কাজের ক্ষেত্রে আপনি নিজেই সবকিছু। যোগাযোগ, কাজ করা, অর্থ গ্রহন সবকিছু করতে হবে নিজেকেই। অবশ্য কয়েকজন একসাথে শুরু করে ক্রমাম্বয়ে বড় কোম্পানীতে পরিনত হওয়া অবশ্যই সম্ভব। ধরে নেয়া হচ্ছে আপনি একা কাজ করতে আগ্রহি। এখানে সে সম্পর্কিত তথ্যই উল্লেখ করা হচ্ছে। এক কথায়, কম্পিউটার ব্যবহার করে যাকিছু করা সম্ভব সবধরনের কাজই পাওয়া যায় এভাবে। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব পেজ তৈরী, ওয়েব পেজের কোন সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং কিংবা একেবারে সহজ ডাটা এন্ট্রি পর্যন্ত। কাজ যত সহজ অর্থের পরিমান তত কম, কাজ যত জটিল অর্থের পরিমান তত বেশি এই নিয়মে। উদাহরন হিসেবে ওয়েব সাইটের জন্য ফটোশপে একটি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরী করে যে পরিমান অর্থ পাবেন ফ্লাশে এনিমেটেড ব্যানার তৈরী করে পাবেন তারথেকে অনেক বেশি অর্থ। বাস্তব ধারনা পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পথ হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজের তালিকা দেখা। কি শিখতে হবে কোন কাজ আপনার জন্য ভাল সেটা যাচাইয়ের দায়িত্ব আপনার। আগ্রহ কোন বিষয়ে, দক্ষতা কোন বিষয়ে, কতদুর পর্যন্ত যেতে পারবেন এগুলি একমাত্র আপনিই জানতে পারেন। কোন কাজে অর্থ বেশি এটা বিচার করে সেই কাজ করতে না যাওয়াই ভাল। প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য একধরনের প্রতিভা প্রয়োজন, এনিমেটর হওয়ার জন্য আরেক ধরনের, ভাল ডিজাইনার হওয়ার জন্য আরেক ধরনের। কোন বিষয়ে আগ্রহি হলে সে বিষয়ে খোজ নিন, কিছুদিন চেষ্টা করুন, তারপর দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিন। এবিষয়েও সত্যিকারের সাহায্য পাবেন এধরনের জব সাইটে। প্রতিটি কাজের বর্ননার সাথে কোন সফটঅয়্যারে দক্ষতা থাকতে হবে তা উল্লেখ করা থাকে। কত আয় করা সম্ভব বিষয়টি পুরোপুরি আপনার কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। অধিকাংশ কাজের হিসেব হয় ঘন্টা হিসেবে। গ্রাফিক ডিজাইনকে উদাহরন হিসেবে ধরলে মাসে অনায়াসে হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। প্রোগ্রামার হলে অনেক বেশি। কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন এধরনের কাজে আপনার মুল অস্ত্র হচ্ছে মেধা। কাজেই দামী যন্ত্রপাতি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হয় না, বিশেষ কাজ ছাড়া। কাজের ধরন অনুযায়ী অবশ্যই আপনার স্ক্যানার, গ্রাফিক ট্যাবলেট, দামী ক্যামেরা ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। এধরনের বিশেষ যন্ত্র বাদ দিলে আপনার প্রয়োজন একটি মোটামুটি পর্যায়ের কম্পিউটার এবং ভাল ইন্টারনেট সংযোগ। বর্তমানে যথেষ্ট কম টাকায় ভাল কম্পিউটার পাওয়া যায়। আর ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে বলা আসলে অর্থহীন। তারা আশা করে আপনি টাকা দেবেন, বদলে কি পাবেন তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না। আর সরকার কিংবা প্রশাসন যত বক্তৃতা-বিবৃতি দিক না কেন, ব্যবসায়িদের কাছে সবসময় মাথা নিচু করে থাকে। মুল কথায় ফেরা যাক। ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের এটা প্রাথমিক তথ্য। শুরুতেই আপনি যা করতে পারেন তা হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত পড়া, বোঝার চেষ্টা করা। সত্যিকাজের কাজের তথ্য তাদের কাছেই পাওয়া সম্ভব, অকারনে অন্য যায়গায় সময় নষ্ট করবেন না। odesk, freelancer এধরনের জনপ্রিয় ওয়েব সাইটের উদাহরন। সার্চ করলে এধরনের আরো বহু সাইট পাবেন। ভালভাবে বোঝার জন্য কয়েকদিন নিয়মিত এই সাইটগুলিতে সময় কাটান। কাজ শুরু করুন, সেইসাথে আরো জানার চেষ্টা করুন।
সফলতার পরামর্ষ
. ফ্রিল্যান্সিং বাজারে কিসের চাহিদা বেশি খোজ করবেন না কোন কাজ করলে বেশি আয় করা যায় কিংবা কোন কাজ বেশি পাওয়া যায় এই দৃষ্টিতে ফ্রিল্যান্সিং দেখবেন না। আপনি নিজে যেকাজে দক্ষ, যেকাজ পছন্দ করেন, সেকাজে মনোনিবেশ করুন। . একেবারে নিচ থেকে শুরু করুন যেকাজ থেকে বেশি আয় হয় সেকাজের চেয়ে যেকাজ সহজ এবং কম টাকায় করা সম্ভব সেকাজ দিয়ে শুরু করুন। অভিজ্ঞতা বাড়লে একসময় বড় কাজের দিকে যেতে পাতে পারেন। অথবা কম টাকার ছোট কাজ করেও বেশি টাকার বড় কাজের থেকে বেশি আয় করতে পারেন। . স্থানিয় কাজের যোগাযোগ ঠিক রাখুন অনলাইনে যে কাজ করবেন স্থানীয়ভাবে সেই কাজ করুন। স্থানিয়ভাবে কাজের সময় সামনাসামনি ক্লায়েন্টের সাথে আলাপের সুযোগ থাকে, তার বক্তব্য জানার সুযোগ তৈরী হয়। নিজের ভুল-ত্রুটি দুর করার জন্য বিষয়টি গুরুত্বপুর্ন। . নিজের জীবন বৃত্তান্ত প্রয়োজন নেই অনেকেই বলে থাকেন নিজের পরিচিতি খুব ভালভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন। বাস্তবে দেখা যায় অনেক ক্লায়েন্টই সেগুলি দেখার জন্য সময় ব্যয় করেন না। তারা কিছু কাজের উদাহরন দেখেই সন্তুষ্ট থাকেন। . সামান্য খরচ করে কাজ সহজ করতে পারেন আপনার চারিদিকে অনেকেই একেবারে সামান্য টাকায় আপনার কাজে সহযোগিতা করতে তৈরী হয়ে আছে। তাদেরকে যতটা সম্ভব কাজে লাগান। এক পর্যায়ে তারা কাজ পেতেও সহযোগিতা করতে পারেন। . ব্যবসাকে মুল করে দেখবেন না ব্যবসা সম্পর্কে সবসময়ই বলা হয় সেখানে কোন ছাড় দেবেন না। শুনতে ভাল শোনালেও সত্যিকারের ব্যবসায়ী ছাড় দেন বলেই সুনামের সাথে ক্রমে উন্নতির দিকে যেতে পারেন। অর্থকে প্রধান করে না দেখে ক্লায়েন্টকে যতটা সম্ভব ছাড় দিতে চেষ্টা করুন। . অন্যের নিয়ম আপনার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে ইন্টারনেটে ক্রমাগত বিজ্ঞাপন দেখে থাকবেন কে কত সহজে ধনী হয়েছে। হয়থ সেটা সত্যি। আপনার ক্ষেত্রে সেটা নাও হতে পারে। দ্রুত টাকা অর্জনের সহজ পদ্ধতির কথা শূনে কাউকে অনুকরন করবেন না। . প্রতিযোগিতায় নিজের অবস্থান নিয়ে ভাববেন না ফ্রিল্যান্সার জব সাইটের বর্তমান সদস্য ১ কোটির বেশি। এদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক ফ্রিলান্সার হয়ত আসলেই আপনার চেয়ে দক্ষ। একথা মনে করলে প্রতিযোগিতায় আপনার টেকার কথা না। বাস্তবে খোজ করলে দেখা যাবে আপনার চেয়ে কম দক্ষতা নিয়েও অনেকে ভাল করছেন। অন্যের সাথে তুলনা না করে নিজেকে কিভাবে আরো দক্ষ করা যায় সেকথা ভাবুন। . নিজের প্রচারের প্রয়োজন নেই এবিষয়ে ভিন্নমত পাওয়া যাবে। কেউ বলবেন ব্লগ এবং সোস্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগের ফলে তারা বিপুলভাবে উপকৃত হয়েছেন। কেউ বলবেন এগুলি ব্যবহার না করা তাদের কাজে কোন সমস্যা তৈরী করেনি। এগুলি ব্যবহার করতেই হবে কিংবা করব না এভাবে না দেখে নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নিন। উদাহরন হিসেবে উল্লেখ করতে পারি, নিজে ফেসবুক, টুইটার, লিংকড-ইন ইত্যাদি কিছুই ব্যবহার করি না। এতে কাজের সমস্যা হচ্ছে না। ব্লগ ব্যবহার করি। এরসাথে ব্যবসার সম্পর্ক না থাকলেও অনেকে উপকৃত হন বলে নিয়মিত জানান। ফ্রিল্যান্সিংকে সরলভাবে দেখুন। আপনার দক্ষতা এবং আন্তরিকতা অন্য সমস্ত সমস্যা দুর করে সফলতা এনে দিতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু ব্যতিক্রমি পরামর্শ
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে পরামর্শের অভাব নেই। সমস্যা হচ্ছে সব পরামর্শ মেনে সফলতার দেখা পাওয়া যায় না।তাত্ত্বিকভাবে ভাল হওয়ার নিয়ম এবং বাস্তবে ভাল করার মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য পাওয়া যায়।
এখানে সরল কিছু নিয়ম তুলে ধরা হচ্ছে যা অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া। এগুলি অনুসরন করে নিশ্চিত সাফল্য পেতে পারেন।
বাড়িতে বসে কোটিপতি, আসলেই কি ?
বাংলা-টিউটর ব্লগ তৈরী করার পেছনে একটি বড় কারন ছিল ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কে বিভ্রান্তি দুর করা।অনেকেরই হয়ত মনে আছে কয়েক হঠাত করেই ইন্টারনেটে আয় সম্পর্কে প্রচারনা শুরু হয়েছিল।
এডসেন্স, এডওয়ার্ডস, পিটিসি ইত্যাদি থেকে সহজে হাজার হাজার ডলার আয়ের মাল্টিমিডিয়া, টাকার বিনিময়ে সেমিনার ইত্যাদি নিয়মিতভাবে দেখা যেত।
ক্লিক করে আয়ের কথা বলে বড় ধরনের প্রতারনার ঘটনাও ঘটেছে। ইন্টারনেট থেকে আয়ের বাস্তবতা তুলে ধরা ছিল ব্লগের প্রথমদিকের পোষ্টগুলির মুল বিষয়।
গত ৪/৫ বছরে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তণ হয়েছে। বহু মানুষ নিজে কাজ করছেন। তাদের অভিজ্ঞতার কথা নিয়মিম প্রকাশ পাচ্ছে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজে টাকা আয়ের ধারনা কি বদলেছে ?
জনপ্রিয় পত্রিকায় যখন প্রতিবেদন ছাপা হয়, বাড়িতে বসে কোটিপতি, তখন এপ্রশ্ন এড়ানো যায় না।
বরং মনে করা স্বাভাবিক যে এখনো মানুষকে এধরনের কথা বলা যায়। এধরনের প্রতিবেদনের বক্তব্য একই। অমুকে বাড়িতে বসে কত হাজার ডলার আয় করেছেন। আপনিও করতে পারেন।
একথা বিশ্বাস করার আগে আপনি কি প্রশ্ন করতে পারেন,
যে ব্যক্তি চাকরী করার পর অবসর সময়ে হাজার ডলার আয় করতে পারেন তিনি চাকরী করেন কেন ?
সাধারনভাবে প্রশ্নটা অদ্ভুত মনে হলেও যারা এবিষয়ে কিছুটা পড়াশোনা করেছেন তারা দ্রতই বলবেন, আছে।
লিওনার্দো দা ভিঞ্চি থেকে পাবলো পিকাসো পর্যন্ত সকলের ছবি নিখুত জ্যাতিমিক ছকে আকা।
একসময় শিল্পীরা জ্যামিতিক ছকনির্ভর ছবিতে এতটাই আগ্রহ দেখিয়েছিলেন যে অনেকে বলতেন শিল্পী হওয়ার জন্য স্কেল, কম্পাস থাকাই যথেস্ট।
আর্শ্চজনকভাবে চিত্রকর্মের সাথে গনিতের এই সম্পর্ক প্রতিস্ঠা করে গেছেন ফিবোনাচি নামে একজন ইটালিয়ান গনিতবিদ, ১২০২ সালে।
তার নামানুসারে একে বলা হয় ফিবোনাচি ফাংশন। ১৮৬০ সালে জার্মান পদার্থবিদ এবং মনোবিজ্ঞানী গুস্তাভ থিওডোর ফেচনার দেখিয়েছেন সরল একটি অনুপাত প্রকৃতিতে সমতা রক্ষা করে।
ফিবোনাচি ফাংশনকে আরো সরলভাবেভাবে বলা হয় গোল্ডেন রেশিও, কারন দুজনের পদ্ধতি একই অংক প্রকাশ করে। এর মান ফাই Φ (১.৬১৮০৩৩৯৮৮৭৪ ...) এর সমান।
লোগো তৈরি করার আগের চিন্তা ভাবনা
ঘরবাড়ি বিষয়ক লোগো তৈরীর সময় প্রথমেই আপনি যা ভাবেন তা হচ্ছে, দোচালা ছাদ, কার্নিস,জানালা কিংবা বাক্সের মত বিল্ডিং। এমন কিছু যা দেখে সহজেই বোঝা যায় লোগোর পেছনের কোম্পানীর কাজ কি।
কখনো ভেবে দেখেছেন কি আপনার মত লক্ষ লক্ষ ডিজাইনার একই কথা ভাবেন।
ফল হচ্ছে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লক্ষ লক্ষ লোগো যা মুলত একই। শুধুমাত্র রং পরিবর্তণ করেই এক কোম্পানীর লোগোকে অন্য কোম্পানীর লোগো
বানানোর উদাহরনের অভাব নেই। অতি ব্যবহারের কারনে এদেরকে বলা হয় জেনেরিক লোগো
Friday, 17 November 2017
start to earn
Friend do not hopeless
Sometimes may occurs promblem on the website
Click Here For Earning
SEVEN DOLLAR CLICK
The first question that might go through your mind is that, are there any special skills sets required to make money online?
Well no, there are no special skills needed by any individual in order to make earn those extra bucks!
Just sign up,
click ads, and make money!If you are looking for the best ways to make money online, you have stopped at the right website. We offer $7 for each advertisement you watch and click. Yes,
thats right - $7!Click ads and earn today!
Don’t miss the best opportunity of your life. One decision can change your life.
You are just a minute away from start earning money online!
Join Today!
- Earn $7 per click
- Huge referral earnings
- Premium Upgrade Enables CashOut
- Request Your Cash Out At $7000
- Free To Join Sign Up Today!
Earn from 2captcha
Are you looking for a job , No tension
Just click the below link and start earning at home
Pleaes Fill free to get any Help in the comment box
Earn from 2captcha
Are you looking for a job , No tension
Just click the below link and start earning at home
Pleaes Fill free to get any Help
Registration Atonce
Earn from YOU TUBE just view the video
Earn MONEY a thousands of $ from You Tube at Home Without any investment
To Start earning Just Click Here
Earn MONEY a thousands of $ from You Tube at Home Without any investment
To Start earning Just Click Here
Earn upto Rs. 9,000 pm with PaisaLive.com!
Click the Below Link
Registration Now
Earn from You Tube at Home Without any investment
To Get Access Just Click HereFor earning Money Online
Registration Now
Monday, 30 October 2017
Thursday, 5 October 2017
Thursday, 28 September 2017
Wednesday, 27 September 2017
DETAILS FOR 6 TO 8 YEARS KIDS
COURSE OFFERS :
Copyright © 2015 , December | MOFIJUL MOLLA- / |
- BASIC KNOWLEDGE OF COMPUTER
- PAINT
- NOTE PAD
- SPOKEN ENGLISH
- PAINT
COURSE FEES :
EXAMINATION SYSTEM :
AFTER COURSE;
WE HAVE TO TAKE A EXAMINATION FROM THE KIDS
MARKS DIVISIONS :
WRITTEN :- 100 MARKS
PRACTICAL:- 100 MARKS